স্বদেশ ডেস্ক:
জয়টা যে ভারতের দিকে হেলে আছে, তাই দক্ষিণ আফ্রিকাকেই আবার ব্যাট করতে পাঠালো বিরাট অ্যান্ড কোং। তৃতীয় দিন ফলোঅনে পড়ে প্রোটিয়ারা। ভারতের পাহাড় সমান প্রথম ইনিংসের সামনে ২৭৫ রান করেই গুটিয়ে গেছে তারা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছে তখনই। আজ চতুর্থ দিনের শুরুতে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে না নেমে প্রোটিয়াদেরই আবার ব্যাট হাতে পাঠিয়েছে। এবং শুরু থেকেই ভারতীয় বোলাররা তাদের ওপর চড়াও হয়েছে। ২১ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন টপঅর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান।
এইডেন মার্করাম শূন্য হাতে ফিরেছেন ইশান্ত শর্মার বলে। আর থিউনিস ডি ব্রুন ৮ রানে উমেশ যাদবের বলে সাজঘরে ফিরেন।
ব্রুনের বিদায়ের পর ডেন এলগারের সঙ্গী হয়েছেন ফাফ ডু প্লেসিস। হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি আছেন এলগার। দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৭ রান।
এর আগে তৃতীয় দিন টেল এন্ডার কেশব মহারাজের লড়াকু হাফসেঞ্চুরি সত্ত্বেও ফলোঅন এড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কাঁধের ইনজুরি নিয়েও ক্যারিয়ার সেরা ৭২ রান সংগ্রহ করেছেন মহারাজ। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন সতীর্থ ভারনন ফিলান্ডার। পুনেতে চলমান দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে নবম উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটসম্যান ১০৯ রান সংগ্রহ করে হতাশায় ফেলে দিয়েছিল স্বাগতিক বোলারদের।
দিনের শেষ ওভারে ১০ম ব্যাটসম্যান মাহারাজের উইকেটটি নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভেঙে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরে শেষ ব্যাটসম্যান কাগিসো রাবাদাকেও আউট করেন তিনি। ইনিংসে ৬৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট সংগ্রহ করেন অশ্বিন।
এর আগে ৫ উইকেটে ৬০১ রান নিয়ে প্রথম ইংনিস ঘোষণা দেয় ভারত।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ৩৬ রানের পুঁজি নিয়ে তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে প্রোটিয়ারা। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬৪ রানে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস অশ্বিনের স্পিন যাদুতে কুপোকাত হয়ে ১৬২ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুক্রবার ফিল্ডিং করার সময় কাঁধে আঘাত পেয়ে স্ক্যান করানোর জন্য পিচ ছেড়ে যাওয়া মাহারাজ শেষ পর্যন্ত শেষ উইকেট জুটিতে ফিলান্ডারের সাথে যুক্ত হন এবং টেস্টে নিজের ক্যারিয়ার সেরা আগের ৪৫ রান টপকে যান। অশ্বিনের বলেই বাউন্ডারি হাকিয়ে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। পেস বোলিং অল রাউন্ডার ফিলান্ডারও এ সময় যথেষ্ট ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং করেছেন। পার্টনার আউট হয়ে যাওয়ার কারণে পিচ ছাড়ার আগে ১৯২ বলের মোকাবেলা করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এর আগে শুরুতে নাউটওয়াচম্যান এনরিখ নর্টিকে ফিরিয়ে দিয়ে সফরকারীদের টুটি চেপে ধরার ইঙ্গিত দেন মোহাম্মদ শামি। চতুর্থ স্লিপে অধিনায়ক বিরাট কোহলির হাতে জমা পড়ার আগে তিন রান সংগ্রহ করেছিলেন নর্টি। এরপর ব্যক্তিগত ৩০ রানে ব্রুন স্বাগতিক স্পিনার উমেশ যাদবের বলে কট বিহাইন্ড হলে ৫৩ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ব্যাট করতে এসে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক অধিনায়ক ডু প্লেসিসের সাথে যুক্ত হয়ে সাময়িকভাবে উইকেট বিপর্যয় কাটানোর চেস্টা করেন। ৭৫ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩১ রানে ডি কককে ফিরিয়ে দেন অশ্বিন।
এর আগে শুক্রবার ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ২৫৪ রান সংগ্রহ করেই টেস্টে ডন ব্র্যাডম্যানের ৬,৯৯৬ রানের সংগ্রহকে টপকে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ইতোমধ্যে এক ম্যাচে জয় পেয়ে এগিয়ে থাকা ভারত এই ম্যাচে জয়লাভ করতে পারলে টানা ১০ম হোম টেস্ট জয়ের বিরল রেকর্ডের মালিক হবে। যে জয়ের ধারা তারা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে।